হজের ফজিলত: আত্মিক পরিশুদ্ধির এক মহাসুযোগ

হজ — ইসলাম ধর্মের পঞ্চম স্তম্ভ। এটি শুধু একটি ইবাদতই নয়, বরং এক অনন্য জীবন-পরিবর্তনকারী অভিজ্ঞতা। হজ মুসলমানদের জন্য এমন একটি ইবাদত যা আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ্যবান প্রতিটি নর-নারীর জীবনে একবার আদায় করা ফরজ। প্রতি বছর লাখ লাখ মুসলমান বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আল্লাহর ঘর, বাইতুল্লাহর দিকে ছুটে আসেন এই মহামানবিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে।

হজের ফজিলত ও মর্যাদা

১. গুনাহ মোচনের বিশাল সুযোগ

হাদিসে এসেছে,
“যে ব্যক্তি হজ করে এবং অশ্লীল কথা-বার্তা ও গোনাহ থেকে বিরত থাকে, সে সেদিন (হজ শেষে) এমন অবস্থায় ফিরে আসে, যেন আজই তার মা তাকে জন্ম দিয়েছেন।”
— (বুখারি, হাদিস: ১৫২১)

হজ এমন একটি ইবাদত, যার মাধ্যমে পূর্বের সকল গুনাহ ক্ষমা হয়ে যায়। এটি এক নতুন জীবন শুরুর দ্বার উন্মোচন করে।

২. জান্নাতের ওয়াদা

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
“হজে মাবরুর (নিষ্কলুষ হজ) এর প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।”
— (বুখারি ও মুসলিম)

এ হাদিস থেকে স্পষ্ট যে, হজ শুধু ইবাদত নয়, বরং জান্নাতের জন্য সরাসরি একটি আমল।

৩. আল্লাহর দৃষ্টিতে হজযাত্রী বিশেষ মর্যাদার অধিকারী

হজরত ওমর (রা.) বলেন,
“হজযাত্রী আল্লাহর অতিথি। যখন তারা তাঁকে ডাক দেয়, তিনি উত্তর দেন। তারা যখন তাঁর কাছে কিছু চাই, তিনি তা দেন।”

হজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর সরাসরি মেহমান হয়ে যান। এমন মর্যাদা দুনিয়ার আর কোনো আমলে পাওয়া যায় না।

৪. উম্মাহর ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের মহাপাঠ

হজের সময় সব মুসলমান একই পোশাকে, একই স্থানে, একই কাজ করেন—ভাষা, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে। এটি বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের বাস্তব প্রতিফলন।


শেষ কথা

হজ কোনো দুনিয়াবি ভ্রমণ নয় — এটি আত্মার যাত্রা। এটি এমন একটি আহ্বান, যেখানে সাড়া দেওয়ার সৌভাগ্য আল্লাহ তায়ালাই দান করেন। হজ মানুষকে আল্লাহর প্রতি বিনয়ী করে তোলে, গুনাহ থেকে মুক্তি দেয় এবং জান্নাতের পথে এগিয়ে দেয়।

আসুন, আমরা সবাই হজের ফজিলত সম্পর্কে সচেতন হই এবং আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে জীবনে অন্তত একবার হজ আদায়ের চেষ্টা করি।


আপনি যদি হজ পালনের ইচ্ছা রাখেন, তাহলে আমাদের অভিজ্ঞ গাইড ও সার্বিক সহযোগিতা পেতে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনার হজ যাত্রাকে সহজ ও অর্থবহ করে তুলতে প্রস্তুত।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Booking Now Free